কারোনাভাইরাস সংক্রমনের ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম জেলা এই মুহুর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া।
সোমবার (১৬ মার্চ) চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘হাম-রুবেলা টিকাদান ক্যাম্পেইনের ২০২০’ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ বিষয় জানান।
সিভিল সার্জন শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘চট্টগ্রাম জেলা এই মুহুর্তে সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে আছে। কারণ আমাদের দুটি বন্দর, একটি বিমানবন্দর ও অপরটি সমুদ্র বন্দর। দুটি বন্দর দিয়েই সংক্রমনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এন্ট্রি পয়েন্টেই যদি সংক্রমনকারীকে ঠেকিয়ে দেওয়া না যায়, তাহলে পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে না। ’
চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টার পরিস্তিতি তুলে ধরে শেখ ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, ‘গতকাল সকাল ৮ টা থেকে আজ সকাল ৮ টা পর্যন্ত ৮ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া এর আগে চট্টগ্রামে হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিলো ২১ জন। কোনো প্রবাসী যদি হোম কোয়ারেন্টাইন না মানেন তবে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হবে।’
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্দেহভাজন ৬ শিক্ষার্থী করোনামুক্ত জানিয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘সেই ৬ যুবক করোনা ভাইরাসমুক্ত। আমরা পরীক্ষা করে কোনো আলামত পায়নি। তাদের মধ্যে ইতালিফেরত যুবক ছাড়া অন্য ৫ জনকে ১৪ দিনের জন্য হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আর ইতালি থেকে আসা যুবকের ১৩ দিন অতিবাহিত হওয়ায় তাকে ১ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা লাগবে।’
নিউজটি শেয়ার করুন
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ