স্বাধীনতা পরবর্তী সময়কালে দারিদ্রতা বিমোচনে বাংলাদেশের বিষ্ময়কর সাফল্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসনীয় ছিল। এছাড়াও এমডিজি অর্জন, আর্থসামাজিক উন্নয়নেও দৃশ্যমান অগ্রগতি বিদ্যমান। করোনা অতিমারির গ্রাসে সারা বিশ্বের মতো দারিদ্র্যতা বিমোচনে বাংলাদেশের চলমান অগ্রগতিও বিঘ্নিত। বেসরকারি এক সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনা পূর্ববর্তী যেখানে দারিদ্র্যতার হার প্রায় ২০ শতাংশের নিচে নেমে এসেছিল, করোনা পরিস্থিতির ফলশ্রুতিতে তা আবার তরান্বিত হয়েছে। ফলে টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ঠ অর্জনের প্রথম লক্ষ্য দারিদ্র্যতা বিমোচনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সরকারের গৃহিত পদক্ষেপগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন প্রয়োজন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনায় এগোতে হবে।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র উদ্যোগে দারিদ্র্যতা ও এর থেকে পরিত্রাণে করনীয় নিয়ে ‘এসডিজি-১ নো প্রভার্টি এন্ড ইটস পারসপেকটিভ অন বাংলাদেশ’ শীর্ষক সরাসরি ভার্চুয়াল ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে উপরোক্ত বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একাউন্টিং বিভাগের অধ্যাপক ও ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র সভাপতি নোমান উল্লাহ বাহার’র সভাপতিত্বে ও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের সহকারী অধ্যাপক ড. শারিন শাহজাহান নওমির সঞ্চালনায় এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র ফেইজবুক পেইজ থেকে অদ্য ১৮ জানুয়ারি ভার্চুয়াল আলোচনায় প্যানেল আলোচক ছিলেন ইস্ট ডেল্টা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও অর্থনীতিবিদ প্রফেসর সিকান্দার খান, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য ও পরিবেশবিদ জাফর আলম, অর্থনীতিবিদ মোঃ শাহজাহান সিদ্দিকী, বাংলাদেশ উপজেলা পরিষদ এসোসিয়েশনের সভাপতি ও পটুয়াখালী জেলার দুমকি উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ হাওলাদার, ওব্যাট হেল্পার্সের প্রতিষ্ঠাতা আনোয়ার খান, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুর রহমান শিহাব, এসডিজি ইয়ুথ ফোরাম’র ঢাকা টিমের কো-অর্ডিনেটর ফারহানা বারি, কমিউনিকেশন এক্সিকিউটিভ তনিমা রহমান, সদস্য মোঃ মনির খান প্রমুখ।
প্রফেসর সিকান্দর খান বলেন, দারিদ্রতার হার গ্রামাঞ্চলে বেশি হলেও বর্তমানে নগরভিত্তিক দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষায় গ্রাম-শহরের ভেদাভেদ দূর করা জরুরী। করোনা পরবর্তীতে অভিজ্ঞতার আলোকে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহন করে দারিদ্রতা বিমোচনে কাজ করতে হবে।
নোমান উল্লাহ বাহার বলেন, সরকার সামাজিক সুরক্ষা খাতে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ রাখলেও সুষম বণ্টন তথা প্রকৃত দরিদ্র, দুস্থ ও অসহায় মানুষের উপকার নিশ্চিত করা জরুরী। দারিদ্রতা সর্বদা বহুরূপী, এর সমাধান প্রক্রিয়াও বহুমাত্রিক পন্থায় হওয়া উচিত।
নিউজটি শেয়ার করুন
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ