চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাত্র এক সপ্তাহ আগে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচটি থানায় ওসি পদে রদবদল করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের এক চিঠির আলোকে এ পরিবর্তন করা হয়েছে।
পরিবর্তনের এই তালিকায় রয়েছেন নগরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে সংঘটিত সহিংস ঘটনায় আ.লীগ কর্মী খুন হওয়ার পর আলোচনায় আসা ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশও। তাকে ডবলমুরিং থেকে সরিয়ে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়েছে। তার স্থলে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে ওসি মোহাম্মদ মহসিনকে।
সোমবার (১৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ রদবদলের কথা জানানো হয়।
এছাড়া আদেশে বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিনকে কোতোয়ালিতে, চকবাজারের ওসি রুহুল আমিনকে বাকলিয়ায়, চান্দগাঁও থানার ওসি আতাউর রহমানকে চকবাজারে এবং গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমানকে চান্দগাঁও থানায় পদায়ন করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।
সম্প্রতি ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় আ.লীগ প্রার্থী নজরুল ইসলাম বাহাদুর ডবলমুরিং থানার ওসি সদীপের প্রত্যাহার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন। এর কয়েকদিনের মাথায় তার বদলির আদেশ এলো।
বিভিন্ন কারণে আলোচিত ছিলেন ডাবলমুরিংয়ে দায়িত্ব পাওয়া নতুন ওসি মোহাম্মদ মহসিন। তিনি কোতোয়ালী থানায় ওসি থাকাকালে পাড়া-মহল্লায় গিয়ে সাধারণ মানুষের কথা শোনার জন্য ‘হ্যালো ওসি’ নামে একটি প্রক্রিয়া চালু করেছিলেন তিনি। পাশাপাশি করোনাকালীন সময়ে মানুষের বাসায় বাজার পৌঁছানোসহ নানা কারণে আলোচিত ছিলেন তিনি।
আলোচিত এই অফিসার কুখ্যাত নারী অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনেন। কিন্তু আসামিকে শুধু কারাগারে প্রেরণ করে ক্ষান্ত হন না। তিনি নারী অপরাধীদের পুনর্বাসনেও কাজ করেন। আবার নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি, ইভটিজিং, যৌতুকবিরোধী ব্যানার-ফেস্টুন টাঙিয়ে প্রচার চালান। সেই সঙ্গে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনটি পেজ থেকে নারী নির্যাতনবিরোধী প্রচারণা চালিয়ে নারীদের কাছ থেকে তথ্য নেন।।
নিউজটি শেয়ার করুন
সাবস্ক্রাইব ইউটিউব চ্যানেল
লাইক ফেইসবুক পেইজ